করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬০০-তে পৌঁছেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। গত একদিনে দেশটিতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৬৪৯ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা কমেছে আড়াই হাজারের বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩ জনে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে ৩৮ জন। দৈনিক মৃত্যু মহারাষ্ট্রে ২০০-র বেশি, কেরালায় ১০০-র বেশি এবং উড়িষ্যাতে ৫০-এর বেশি। বাকি সব রাজ্যে তা রয়েছে ৫০-এর নিচে। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ জন।
এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের সংখ্যায় শনিবারও বজায় রয়েছে উল্টো চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হওয়া মানুষের তুলনায় ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগী বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৯১ জন। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৬৪৯। ফলে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৯২০ জন। দেশটির মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ২৯ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী।
শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সুস্থতার হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৩৭ শতাংশে। শুক্রবার এই হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। টানা ৪০ দিন ধরে দেশটিতে এই হার ৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে।
এদিকে ভারতে করোনায় নতুন করে আক্রান্তদের অধিকাংশই সংক্রমিত হচ্ছেন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭৭২ জন। তবে বাকি সব রাজ্যেই এই সংখ্যা ১০ হাজারের কম। এছাড়া মহারাষ্ট্রে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দু’হাজারের বেশি।
অন্যদিকে কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দু’হাজারের কম। উড়িষ্যায় দেড় হাজার এবং আসামে এক হাজারের আশপাশে। বাকি সব রাজ্যেই সংক্রমণ হাজারের নিচে রয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গত কয়েকদিনে অবশ্য সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই