ভারতের কেরালায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটসহ মৃত্যু ২০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। মৃতদের মধ্যে আছে চার শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১২৩ জন। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বোয়িং ৭৭৩ মডেলের বিমানটি দুবাই থেকে ভারতে ফেরে। কোঝিকুদ বিমানবন্দরে নামার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ চলছে। এতে অংশ নেয় জরুরি সেবাদানকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এয়ার ইন্ডিয়ার এএক্সিবি ১৩৪৪ ফ্লাইটের বিমানে করে করোনার কারণে দুবাইতে আটকা পড়া ব্যক্তিরা সরকারের ‘বন্দে ভারত মিশনের’ আওতায় দেশে ফিরছিলেন বলে জানা গেছে। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, অবতরণ করতে গিয়ে একটি উপত্যকায় আছড়ে পড়ে। ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
কোঝিকুদ বিমানবন্দর ব্যাঙ্গালুরুর মতো টেবিলটপ বিমানবন্দর। সৌভাগ্যবশত বিমানটিতে আগুন ধরেনি। আগুন ধরলে আরোহীদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে পড়তে পাড়তো। এর আগে ২০১০ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এসময় নিহত হয় ১৫৮ আরোহী। ব্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের রানওয়েতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় বিমানটি পূর্ণ গতিতে ছিল। সেটি রানওয়ে থেকে পিছলে বেরিয়ে যায়।
টুইটারে দেয়া পোস্টে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, এ ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুই বার প্লেন ল্যান্ড করতে গিয়ে পাইলট ব্যর্থ হন বলে জানা গেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, বৃষ্টির মধ্যে পিছলে যায় বিমানটি। বিমানবন্দরের দেয়াল ভেঙে সেটি ৩৫ ফুট এগিয়ে যায়। বিমানটি দুই টুকরো হয়ে গেছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যাতে উদ্ধারকাজ ঠিকভাবে হয় ও সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে ভারতের কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেরালার ইদুক্কি জেলায় চা শ্রমিকদের একটি কলোনিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পর ব্যাপক ভূমি ধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। ওই ঘটনায় আরও অন্তত ৫০ জন আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন