ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২০। এদের অধিকাংশই নারী। ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসের রাতি ভানপুর গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
‘সৎসঙ্গ’-এর অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিড়ের চাপে প্রাণ হারান অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে, হাথরাসের সিকান্দারা রাউ শহরে বিশেষভাবে তৈরি করা তাবুতে ধর্ম প্রচারক তার অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, এটা ছিল ভোলে বাবা নামে এক ধর্ম প্রচারকের সৎসঙ্গ সভা। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেয়া হয়।
নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ২৭ টিরও বেশি মৃতদেহ ইটাহ জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছে এবং প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা। যারা জড়ো হয়েছিলেন তারা এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করেছিল বাঁচার জন্য। যার ফলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়েছে।
আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এএজে