উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতে আরও বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৭ জন।
শুক্রবারের তুলনায় যা সামান্য বেশি। তবে এই নিয়ে টানা চারদিন ২ হাজারের ওপরেই রয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ১৫ ও ১৬ এপ্রিল ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নিচে থাকলেও গত ১৭ এপ্রিল থেকে সংক্রমণের ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা শুক্রবারের তুলনায় কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এর মধ্যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ৩১ জন এবং দিল্লিতে মারা গেছেন দু’জন।
শনিবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ০.৫৬ শতাংশ। এছাড়া ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৫৬ জন।
দৈনিক সংক্রমণের দিক দিয়ে ভারতে শীর্ষ স্থানে উঠে গেছে দিল্লি। প্রতিবেশী এই দেশটির রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়ে গেছে যা চিন্তা বাড়াচ্ছে সরকারের। ফলে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
সংক্রমণের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ফের রাজধানী দিল্লিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলোও পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
কয়েক দিন আগেই দিল্লির পার্শ্ববর্তী উত্তরপ্রদেশের ৬টি জেলা এবং লখনৌয়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। পাঞ্জাব সরকারও রাজ্যবাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া চারটি জেলায় সংক্রমণ বাড়ায় হরিয়ানা আগেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও খোলা রয়েছে ভারতের স্কুল। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা করোনা পজিটিভ হলে স্কুলে পাঠানো যাবে না। ক্লাসে অন্যের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। ভিড় এড়াতে স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ ভিন্ন করতে হবে।