খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

ভারতের বনগাঁয় আসমা হত্যার মামলায় চার্জশিট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ বাজারের শ্যামা প্রসাদ লজ থেকে যশোরের আসমা হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। অভিযুক্ত আবুল কাশেম ওরফে কাশেম মিয়া যশোর সদর উপজেলার পালবাড়ী গাজীঘাট এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর ডিবি পুলিশের ওসি সৌমেন দাস মামলাটির তদন্ত শেষে এ চার্জশিট আদালতে জমা দেন। নিহত আসমা যশোরের আরবপুর পাওয়ার হাউজপাড়ার শাহানুর ইসলামের স্ত্রী।

আদালত সূত্র জানায়, আসমার স্বামী শাহানুরের সাথে আসামি কাশেমের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তিনি নিয়মিত শাহানুরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই এক পর্যায়ে আসমার সাথে কাশেমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বিষয়টি জানাজানি হলে শাহানুর আসমাকে তালাক দেয়। পরে আসমা তার শিশু কন্যা নিয়ে যশোর সদর উপজেলার নওদাগাঁর জনৈক মঞ্জু নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

শাহানুরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর কাশেমের সাথে আসমার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হয়ে উঠে। প্রায় তারা ভারতে যেয়ে একসাথে থাকতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জানুয়ারি আসমা ও তার খালা মনোয়ারা বেগম চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সাথে কাশেমও যায়।

তারা ভারতের ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ বাজারের বাটা মোড়ে হোটেল শ্যামা প্রসাদে উঠে। ওই হোটেলের একটি কক্ষে আসমা ও কাশেম অপর কক্ষে তার খালা মনোয়ারা বেগম ছিলেন। পরদিন সকালে হোটেলের রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মচারী আসমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর থেকে আবুল কাশেমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ৩০ জানুয়ারি যশোর আদালতে মামলা করেন। পরে মামলাটি কোতয়ালী থানায় মামলা হিসেবে গ্রহন হয়। ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩০ মে ঢাকার মিরপুর থেকে কাশেমকে আটক করে যশোর ডিবি পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ মামলায় সোমবার বিকেলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপেক্টর সৌমেন দাস।

 

খুলনা গেজেট/ নাফি

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!