নিশীথ প্রামাণিক কি বাংলাদেশের নাগরিক? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমে সেই অভিযোগ তোলেন রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ নিয়ে চিঠিও লিখেছেন তিনি। শনিবার সেই চিঠি নিয়েই নেটমাধ্যমে সরব তৃণমূল। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং ব্রাত্য বসু এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মোদীকে লেখা রিপুনের চিঠি পোস্ট করে তাঁদের দাবি, কোনও বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
এর জবাবে রাজ্য বিজেপি-র বক্তব্য, কুৎসা না করে কোনও প্রমাণ থাকলে দিক তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু একই সঙ্গে বলেন, ‘তর্কের খাতিরে অভিযোগ মেনে নিলেও এটা তো ঠিক যে, নিশীথ হিন্দু। বিজেপি মনে করে, সব হিন্দুই ভারতীয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। দরকার হলে তৃণমূল এটা নিয়ে আদালতে যাক।’
অসমের কংগ্রেস নেতা রিপুন মোদীকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উল্লেখ করে দাবি করেছেন, নিশীথ আদতে বাংলাদেশের পলাশবাড়ির হরিনাথপুরের বাসিন্দা। ভারতে কম্পিউটার কোর্স করার নামে আসার পরে কোচবিহারে থেকে যান। প্রথমে তৃণমূলে এবং পরে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। রিপুন আরও দাবি করেছেন, যে নথি দেখিয়ে নিজেকে কোচবিহারের বাসিন্দা বলে নিশীথ দাবি করেছেন তা ভুয়ো। জালিয়াতি করে তৈরি বলেও অভিযোগ তুলেছেন রিপুন।
সেই চিঠির কথা উল্লেখ করেই ব্রাত্য টুইটারে লিখেছেন, ‘রাজ্যসভার সাংসদ রিপুণ বোরা সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। বহু সংবাদমাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে। এই ধরনের লোককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার আগে কি কোনও কিছুই খতিয়ে দেখা হয়নি? ভুলে গেলে চলবে না এই নিশীথের বিরুদ্ধে কতগুলি গুরুতর অপরাধমূলক মামলা চলছে। লজ্জাজনক।’ রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল দেশের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
এই অভিযোগ নিয়ে নিশীথের প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এ নিয়ে রাজ্যে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের দু’জন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমন প্রশ্ন তুলেছেন। দয়া করে তাঁরা তথ্য প্রমাণ দিন। শুধু শুধু কুৎসা করে শুধুই খবরে আসা যায়।’ আনন্দবাজার পত্রিকা।
খুলনা গেজেট/ টি আই