বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটে নিচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। তাই অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে আবারো একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে মোংলা কোষ্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বঙ্গোপসাগরের অদূরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে তাদের জাল, ট্রলার ও মালামালসহ আটক করা হয়। শুক্রবার দুপুরে জেলেদের মোংলা থানায় পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
কোষ্টগার্ড জানায়, তাদের নিয়মিত টহলরত অবস্থায় ‘অভিযানকারী জাহাজে থাকা কোষ্টগার্ড সদস্যরা বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ জেলেদের বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে দেখতে পায়। এসময় ওই সকল জেলেদের ধাওয়া করলে অন্য জেলেরা পালিয়ে গেলেও একটি ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে আটক করেন। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ৮ দফায় ১১টি ফিশিং ট্রলারসহ ১২৮ জন ভারতীয় জেলে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটককৃত ভারতীয় জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড। পরে এ সকল জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মামলা দায়ের করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিুরল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কোস্টহার্ডের অভিযানকারী জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় কোস্টগার্ড টহলের সময় বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের সিমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে দেখে। এ সময় বাংলাদেশের কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে ওই সকল জেলেরা দ্রুত ভারতের সীমানায় চলে যায়।
এ সময় অভিযান চালিয়ে এফবি মা-বাবার আর্শিবাদ-১২ নামক একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৩ জন ভারতীয় জেলেসহ আটক করতে সক্ষম হয়। সাগর থেকে শুক্রবার দুপুরে তাদের মোংলা থানায় আনা হয়েছে। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আটক জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম