খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

‘ভারতীয় বাজার মাথায় রেখেই বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়েছে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ‍যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে ভারতের বিশ্বকাপ সূচি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই মাঠে তাদের পরপর তিন ম্যাচ, পুরো গ্রুপপর্ব যুক্তরাষ্ট্রে এবং খেলার সময়সূচিও নির্ধারণ হয়েছে তাদের সুবিধা করে দিতে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন এই আসরের অন্যতম আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সিইও জনি গ্রেভ। তার দাবি– ভারতীয় বাজারের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়েছে!

তিনি অবশ্য এমন দাবির পেছনে যৌক্তিকতাও দেখিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকারে জনি গ্রেভ বলেন, ‘সবাই এটা জানে এবং মানে যে আইসিসির ইভেন্টে আয়ের সিংহভাগ আয়টা আসে একটা নির্দিষ্ট মার্কেট থেকে। সেই কারণে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা একটা ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি, যাতে ভারতীয় সময়ের প্রাইম টাইমে ম্যাচ শুরু করা যায় এবং স্থানীয় দর্শকদের জন্যও যেন সময়টা সুবিধাজনক হয়।’

‘আমাদের অর্ধেক ম্যাচ স্টার স্পোর্টসে তাড়াতাড়ি শুরু করতে হবে। এরপর বাকি ম্যাচগুলোকে যতটা সম্ভব দেরি করে শুরু করার চেষ্টা করেছি। যাতে ভারতীয় সময়ে তা একেবারে ভোরের দিকে শুরু হয়। আমরা যেন ভালো ভিউয়ারশিপ পেতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে’, আরও যোগ করেন এই ক্যারিবীয় বোর্ড কর্মকর্তা।

তবে অনলাইনে ভারতীয় দর্শকদের সুবিধা করে দিতে গিয়ে ম্যাচের গ্যালারিতে প্রভাব পড়ছে বলেও মত জনি গ্রেভের। তিনি বলেন, ‘আয়োজক দেশ হিসেবে আমাদের স্থানীয় সমর্থকদের কথাও ভাবতে হবে। যাতে তারা বিকেলের দিকের ম্যাচগুলোতে উপস্থিত থাকতে পারে। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার যে ম্যাচ শুরু হচ্ছে তাতে আমরা বেশি করে স্কুলের বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তারা বিশ্বকাপের ম্যাচ যাতে বিনামূল্যে দেখতে পারে সেই ব্যবস্থাই করছি আমাদের পক্ষ থেকে। এছাড়া আমরা যাতে আরো বেশি উপার্জন করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য হবে।’

একাধিক দেশের ওপর আয়োজন সত্ত্ব থাকলে, টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ভাগ হয়ে যায়। যা ভবিষ্যতে আরও বেশি বাড়বে বলেও মত গ্রেভের, ‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলো কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে, সেখান থেকে অনেক বেশি অর্থ আয় হয়। ওই দেশগুলো টুর্নামেন্টের সম্প্রচার সংস্থার থেকে ওই অর্থ তুলেও নেয়। উপার্জন যত বাড়বে, তত বাকি বোর্ডদের মাঝেও আগামী দিনে আট বছরের চক্রে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ বাড়বে। তাই ম্যাচের সূচি এবং সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্রডকাস্টারদের দিকটাও মাথায় রেখেই আমাদেরকে সবকিছু করতে হয়। এবার যৌথ আয়োজক হওয়ায়, রোজগারের অর্থ আমেরিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ভাগ হবে। পরের টুর্নামেন্টের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়া। সেই সময় অর্থ আরও বেশি দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, গত ২ জুন থেকে শুরু হয়েছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। এখন পর্যন্ত আমেরিকান ভেন্যুতে হওয়া ম্যাচগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। বিপরীতে ভালো অবস্থানে ক্যারিবীয় দ্বীপের আয়োজকরা।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!