পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিন বোলিংয়ে কিছুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে শেষ বিকেলে লঙ্কানদের দুই উইকেট নিয়ে কেবল ১৭ রান তুলতে দিয়েছেন মিরাজ-তাইজুলরা। কিন্তু আজ রোববার দিনের শুরু থেকে বোলিংয়ে নড়বড়ে বাংলাদেশ। এক উইকেট নিলেও রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় লিডের পথে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে দলীয় স্কোর ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬২ রান। ৪০৪ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকেরা।
গতকাল শনিবার তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ২৪২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নেমে ১৭ রান তুলতে দুই উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। এর মধ্যে একটি নিয়েছেন মিরাজ। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন তাইজুল। ২৫৯ রানে এগিয়ে থেকে আজ রোববার চতুর্থ দিন শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।
কাল ব্যাট হাতে শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন তামিম। এরপর ওয়ানডে স্টাইলে খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩১তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৫৭ বল খেলে আট বাউন্ডারিতে সিরিজে টানা তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিম ও সাইফের ব্যাটে এত ভালো শুরুর পরও লাঞ্চ বিরতির আগে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। লাঞ্চ বিরতির আগে জোড়া ধাক্কা খায় সফরকারীরা। প্রথমে ২৫ রানে আউট হন সাইফ হাসান। সাইফের পর উইকেটে এসে টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন তিনি।
হাফসেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তামিম। কিন্তু পারলেন না তিন অঙ্কের ঘরে যেতে। বিরতির পর সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৯২-এর ঘরে গিয়েই থামলেন তামিম। এর আগে প্রথম টেস্টেও ৯০ রানে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে আউট হন মুমিনুল। ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। তৃতীয় দিন সকালে মিনিট ১৫ ব্যাটিং করে ইনিংস ছাড়ে স্বাগতিকেরা।
৩৪.২ ওভার বোলিং করে ১২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। টেস্টে এটাই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ৩ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এনএম