বিশ্বকাপের মঞ্চ পেলেই যেন ওঠেন আরিফুল ইসলাম। গত আসরে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো সেঞ্চুরির পর এবারের আসরে ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন আরও একবার। তার সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তোলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭০ রানে আটকে দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বী। ১২১ রানের এ জয়ে পরের পর্ব সুপার সিক্স নিশ্চিত হলো বাংলার যুবাদের।
যুব বিশ্বকাপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ ২০২০ আসরে। আকবররা সেবার বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে মাতিয়েছিল দেশবাসীকে। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে পরের আসরে খেলতে গিয়ে অষ্টম হয়ে ফিরতে হয়। সেই থেকে আরও সতর্কভাবে বয়সভিত্তিক দলটির পরিচর্যায় মন দেয় বিসিবি। এবারের আসরের আগে এশিয়া কাপ জিতে সেই মান ধরে রাখার স্বাক্ষর রাখে যুবারা। তবে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার দিয়ে শুরু ঠিক মনের মতো হয়নি কারও। ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ম্যাচে আইরিশদের হারানোর পর এবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রকে একরকম উড়িয়েই দিল বাংলাদেশ।
এদিন অবশ্য উদ্বোধনী জুটিটি বড় হয়নি বাংলার যুবাদের। ১৩ রানে আদিল ফিরে গেলে ২৯ রানের জুটি ভাঙে। শিবলী ফেরার আগে করেন ২৭ রান। তারপরই ক্রিজে আসেন আরিফুল। তার সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হন রিজওয়ান। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনের সঙ্গে ১১৫ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন আরিফুল। গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেই ফিফটি বঞ্চিত হন আহরার। এবার ফেরেন ৪৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৪৪ রান করে। তবে অন্যপ্রান্তে ৬৫ বলে ফিফটি তুলে নেন আরিফুল।
ফিফটির পর ৯৯ বলে পৌঁছান ম্যাজিক ফিগারে। আউট হওয়ার আগে করেন ৯ চারে ১০৩ বলে ১০৩ রান। গত বিশ্বকাপেও আরিফুল করেছিলেন দুটো সেঞ্চুরি। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের বিপক্ষে সেইবার সেঞ্চুরি করেছিলেন আরিফুল।
শেষদিকে শিহাব জেমসের ১৭ বলে ৩১ ও শেখ পারভেজ জীবনের ৭ বলে ১৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৯১ রান। শেষ ১০ ওভারেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা তোলেন ৯৪ রান। যুক্তরাষ্ট্রের আর্য গার্গ ৩টি ও আরিন নাদকার্নি ২টি উইকেট নেন।
খুলনা গেজেট/কেডি