বাগেরহাটের চিতলমারীতে ব্যাক্টেরিয়া জনিত ঢলে পড়া রোগে আগাম ফলন্ত টমেটো গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। বহু কষ্টে আবাদকৃত টমেটো গাছ মরে যাওয়ায় চাষিদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা স্থানীয় কৃষি দপ্তরের সহায়তা কামনা করেছেন।
চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিতলমারী সদর ইউনিয়ন, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে আবাদি-অনাবাদি ও চিংড়ি ঘেরের পাড়ের জমিতে ব্যাপক টমেটোর চাষ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি টমেটো চাষ করে এখানকার চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ব্যাক্টেরিয়া জনিত ঢলে পড়া রোগে টমেটো ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও থামানো যাচ্ছে না এসব রোগ-বালাই। ফলে অর্থকারী এ ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলার চরবানিয়ারী দক্ষিণপাড়ার টমেটো চাষি আরতী মন্ডল, নিতাই মন্ডল, নরেশ চন্দ্র বাড়ৈ, নিকুঞ্জ বালা, ইন্দু ভুষন, আবুব শিকদার, রেউল শিকদার, মধাব রায়সহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ক’দিন আগেই তরতাজা গাছে ঝুলন্ত টাটকা টমেটো দেখে প্রাণ জুড়িয়েছিল চাষিদের। মনে হয়েছিল এবার ভাল ফলন গত বছরের লোকসান পুষিয়ে দেবে। কিন্তু ক্ষেতের গাছে গোড়া পচন ও পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে। নানা ঔষধ ও সার-কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন সুফল মেলেনি। এখানকার টমেটো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পাইকারদের মাধ্যমে চালান হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ব্যাপক ব্যাক্টেরিয়া জনিত ঢলে পড়া রোগে লোকসান গুণতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, এ বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটো গাছে যে ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে এটার নাম ব্যাক্টেরিয়া জনিত ঢলে পড়া রোগ। এ রোগ সম্পর্কে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম