ছয় ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। মাত্র ১২.১৬ গড়ে রান করেছেন ৭৩। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানের রানখরা কাটছেই না। মোহামেডান অধিনায়কের এমন ফর্মের প্রভাব পড়ছে দলের ওপরও। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মতিঝিল পাড়ার দলটি। এবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তাদের উড়িয়ে দিল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব আউট হয়ে গেছেন কোনো রান না করেই। ব্যর্থ মোহামেডানের টপ অর্ডারও। পরে শুভাগত হোমের ৩২ বলে ৫২ রানের সুবাদে মোহামেডান ১১৩ রান করলেও রূপগঞ্জ ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ৯ উইকেট হাতে রেখেই।
সাকিবের ব্যাট হাসছে না অনেক দিন ধরেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে করেছেন ১৫, ০ ও ৪। এর আগে রান পাননি আইপিএলেও। অথচ ব্যাট হাতে ফর্মে ফিরতে নেটে বাড়তি অনুশীলন করছেন নিয়মিত। আজ ম্যাচের আগেও মিরপুরের ইনডোরে আলাদা করে অনুশীলন করেছেন। তবু বদলায়নি ভাগ্য।
সাকিবের সঙ্গে মোহামেডানের বাকি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও দ্রুতই ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। ২৭ রান তুলতেই ৬ ব্যাটসম্যানকে হারায় মোহামেডান। একপর্যায়ে তো মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৪ রানও স্পর্শ করতে পারবে না মোহামেডান! সেই লজ্জার হাত থেকে তাদের বাঁচান শুভাগত হোম। পাল্টা–আক্রমণে ৩২ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। ২৫ বলে ১৫ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন আবু হায়দার।
১১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জের শুরুটাই হয়েছে দুর্দান্ত। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা পিনাক ঘোষ ও মেহেদী মারুফ মিলেই উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৮৯ রান। মারুফের ব্যাট থেকে ৪৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে আসে ৪১ রান। পিনাক ৫১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫১।
মোহামেডানের আরেকটি হারের দিনে জিতেছে আবাহনী। বিকেলে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুরকে বৃষ্টি আইনে ২৫ রানে হারিয়েছে তারা। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে আফিফ হোসেনকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে অবশেষে টপ অর্ডারে রানের দেখা পেয়েছে দলটি। নাঈমের ৭০ ও আফিফের ৫৪ রানে আবাহনী করে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান। তরুণদের সুযোগ দিতে আজ ব্যাটিংয়েই নামেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বড় রান তাড়া করতে গিয়ে শাইনপুকুর পড়ে বৃষ্টির বাধায়। বৃষ্টি আইনে ১৭ ওভারে শাইনপুকুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৯ রান। কিন্তু তাদের ইনিংস থেমে যায় ১২৩ রানেই।
বিকেএসপির আরেক মাঠে বৃষ্টি আইনে জিতেছে খেলাঘরও। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে তারা হারিয়েছে ৫ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ব্রাদার্স করেছে ১৩৪ রান। পেসার খালেদ আহমেদ ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেন দুটি করে উইকেট। ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে অবশ্য খুব একটা সমস্যা হচ্ছিল না খেলাঘরের। বৃষ্টিতে যখন খেলা থামে, মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছিলেন ৪০ রানে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি