বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার ভুয়া সমন্বয়কসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সরদার মোন্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের, তাহমিদ রহমান, নাহিদ হাসান, এস এম শরিফ হোসেন ও ইমন হাওলাদার।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অপহৃত শেখ অহিদুজ্জামান ও মোন্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের পূর্ব পরিচিত। ডাক্তার দেখাতে গত ১৫ অক্টোবর অহিদুজ্জামান বাগেরহাট থেকে খুলনায় আসেন। ডাক্তার দেখানোর পর জাবের চা খাওয়ার কথা বলে অহিদুজ্জামানকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছানোর পর অন্য ৪ ব্যক্তি তাকে তেতুঁল তলা মোড়ে রোজগার্ডেন হোটেলের তৃতীয় তলায় নিয়ে আটক রেখে চাঁদা দাবি করে এবং বেদম মারপিট করে। তার সঙ্গে থাকা দু’জন ৯৯৯ এ ফোন করলে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর ইমন ও নাহিদ নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। তাদের ছাড়াতে জহুরুল তানভীর নামে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক থানায় যান। কিন্তু অন্য সমন্বয়ক এবং ছাত্ররা অপহরণকারীদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানালে রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রেপ্তার ইমন বিভিন্ন সময় এক সমন্বয়কের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেন। আর নাহিদ একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়কের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করতে। তাদের ছাড়াতে সমন্বয়কের থানায় যাওয়ার ঘটনায় সবাই বিব্রত।
তবে সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, আমি থানায় কাউকে ছাড়াতে যাইনি। বরং ওসিকে বলেছি, অপরাধী সমন্বয়ক হোক আর যেই পরিচয়েরই হোক তাকে আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আল আমিন জানান, বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এএজে