মাত্র ১৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের জন্য বাধা হয়ে ছিলেন মার্শ। নিজের শেষ ওভারে এসে তাঁকে ফেরালেন নাসুম আহমেদ। ঝুলিয়ে দেওয়া বলটায় স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন মার্শ, তবে হয়েছেন টপ-এজড।
স্কয়ার লেগ থেকে বেশ খানিকটা ছুটে এসে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন শরীফুল। নাসুম পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট, অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ষষ্ঠটি। আর অর্ধশত রান পূরণের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মিচেল মার্শ। সপ্তম উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজকে যেন শেষের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজ এলেন, কাটারে ধোঁকা দিলেন টার্নারকে। তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন টার্নার, অস্ট্রেলিয়া ডুবেছে আরেকটু। অস্ট্রেলিয়ার ১০২ রানে অষ্টম উইকেট তুলে নেন শরীফুল।
দুই ওভারে পরপর দুই উইকেটের পতন অজিদের। উইকেট শিকার করেছেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান। প্রথম ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারে নাসুমের বলে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন জশ ফিলিপ। তৃতীয় ওভারে এসে আরেকটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছেন মাত্র এক রান করা ময়শিস হ্যানরিক্সকে। ১২ রানেই তিন উইকেট হারিয়েছে অজিরা। নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় নাসুম। এরপর অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। নাসুমের বল ঠেকিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের পায়ে স্ট্যাম্প ভেঙে সাজঘরে ফেরেন অ্যাস্টন অ্যাগার। নাসুমের চতুর্থ উইকেটের শিকার হন মিচেল মার্শ। এতে অস্ট্রেলিয়া হারায় ষষ্ঠ উইকেট।
এর আগে ৪ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ছিল সাকিবের। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। আজ সে রেকর্ড ভাঙলেন নাসুম। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সব মিলিয়ে দুই দলের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি অবশ্য থেকে গেল অস্ট্রেলিয়ান পেসার ডার্ক ন্যানেসেরই। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে।
এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন শেখ মেহেদী হাসান। ওপেনিংয়ে নামা অ্যালেক্স ক্যারিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। টার্ন করবে ভেবে খেলেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি, তবে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলের লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড।
বাংলাদেশ একাদশ : সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, মোয়াসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।