অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতো নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কিউইদের বিপক্ষে শুভ সূচনার পর স্বাভাবিকভাবে বোলারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুতে দুই ওপেনারকে হারানো ঠিক মানতে পারছেন না তিনি। এবারো ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রত্যাশামাফিক পারফরম্যান্স দেখতে না পাওয়ার হতাশা।
মোস্তাফিজুর রহমানের গতির সঙ্গে সাকিব ও নাসুমের স্পিনে নিউ জিল্যান্ডকে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে তারা জিতেছে ৭ উইকেটে। ২ উইকেট নেওয়া সাকিব করেছেন সর্বোচ্চ ২৫ রান।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিক স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত অল আউট হয় ৬০ রানে। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল দেশটি।
সাকিব চার ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ইনিংস সেরা ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। ম্যাচশেষে হাস্যোজ্জ্বল এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘খুবই ভালো অনুভূতি। কারণ প্রথম ম্যাচে জিততে পেরেছি। আরেকটা কারণ আমরা আগে কখনো নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিনি। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমরা নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খুবই ভালো বোলিং করেছি।’
নিউ জিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করলেও ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ৭ রানের মধ্যে মাত্র ১ রান করে ফেরেন দুই ওপেনার। পরে সাকিব-মুশফিক দলের হাল ধরেন। সাকিব যখন মাঠ ছাড়েন, দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩০ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় পায়।
দলের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং এখন পর্যন্ত চাওয়া মতো হচ্ছে না। কিন্তু কন্ডিশনও আমাদের পক্ষে না।’