খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রাতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকদের বসতবাড়িতে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। সংস্কার করছেন ধান কাটার যন্ত্র। কোথাও কোথাও আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে, আবার অনেকেই ২-১ দিনের মধ্যেই ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বৃদ্ধির মাঝেই বোরো আবাদ করেছিলেন কয়রার চাষিরা। তবে বাম্পার ফসল হওয়ায় খুশি তারা।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কয়রা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এবং কৃষি অফিস থেকে ২৫০০ জন কৃষককে হাইব্রিড বীজ দেওয়া হয়েছে।
ভান্ডারপোল পূর্ব বিলের কৃষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমি প্রতিবছরের মতো এ বছরও ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। ধান ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২০ মণ মতো আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ধান কাটা শুরু করেছি৷ আমাদী বিলের কৃষক গৌতম দাশ জানান, তিনি এবছর ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলেন। অর্ধেক ধান কাটা হয়ে গেছে আর অর্ধেক বাকি আছে। তিনি আরও বলেন, বিঘা প্রতি ২২ মণের মতো ফলন হবে।
সাতহালিয়া বিলের কৃষক মো. মিজানুর রহমান বাবু বলেন, তিনি এবছর বোরো ধান লাগিয়েছিলেন ৯ বিঘা জমিতে। ফলন বাম্পার হয়েছে, বিঘা প্রতি ২৫ মণের মতো হবে। ধান কাটা শুরু করেছেন বলে তিনি জানান। এদিকে কুশোডাংগা পশ্চিম বিলের কৃষক মো. আছাদুল হক এবছর ৩ বিঘা জমিতে বোর ধান লাগিয়েছিলেন। তার ফলন বাম্পার হয়েছে। তার জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। মাড়াই চলছে। ফলন বিঘা প্রতি ২৫ মণের মতো হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে ঘুগরাকাটী বিলের কৃষক মো. বাবলু গাজী জানান, তিনি এবছর ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৪ মণের মতো হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। মহারাজপুর বিলের কৃষক মো. হাসান মাহমুদ ২ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। তারও ফলন বাম্পার হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে তিনি ধান কাটা শুরু করবেন৷ বিঘা প্রতি ২৪ মণের মতো হবে ফলন হবে বলে ধারণা করছেন।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের ফলন ভালো হয়েছে । আমাদের কৃষি অফিস সবসময় কৃষকদের পাশে আছেন।
খুলনা গেজেট/জেএম