বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেল থেকে থানার সামনের সড়কে বিক্ষোভসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার।
এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ‘দেশ স্বাধীনের নামে’ ছাত্র-জনতা লোহার রড, হকস্টিক, লোহার পাইপ, চায়নিজ কুড়াল, হাঁসুয়া দ্বারা পীরগাছা বাজার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের তালা ভাঙে। এর পর ১৫ হাজার টাকার কাচের গ্লাস, টেবিল, ৩৫ হাজার টাকার ৪০টি চেয়ার, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ৩২টি সিসি ক্যামেরায় হামলা করা হয়।
এ ঘটনায় রব্বানি ওরফে বাবু, শামিম মিয়া, অন্ত মিয়া, শাকিল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শাহিন মিয়াসহ ২২ শিক্ষার্থীকে আসামি করে শুক্রবার মামলা করা হয়। আজ এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর পরই মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বাদীর একটি আবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হতে দেখা যায়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা গতকাল বিকেলে থানার সামনের সড়কে বিক্ষোভ শেষে অবস্থান নেন।
সমাবেশে ছাত্ররা বলেন, গত ৫ আগস্ট পীরগাছায় কোনো ভাঙচুর হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্র-জনতার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বিএনপি নেতা। তারা রাঙ্গাকে উপজেলা বিএনপিসহ পীরগাছা বাজার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করার দাবি জানান।
ছাত্ররা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন এখনও ওই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল আছেন। মিলনের ব্যক্তিগত অফিস রক্ষা করতে গিয়ে রাঙ্গা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন। এতে ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে রাঙ্গা ও মিলনের শাস্তি দাবি করেন তারা।
ওসি সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মামলা প্রত্যাহারে রাঙ্গার আবেদনের একটি কপি ফেসবুকে দেখা গেলেও অফিশিয়ালি পাননি তিনি। ছাত্ররা রাঙ্গার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে রাঙ্গার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।