খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। সোমবার (১২ জুন) মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেসিসি এলাকার মধ্যে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন, প্রদর্শন ও চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মোটরসাইকেল ও যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (১০ জুন) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সব বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা অস্ত্র বহন, অস্ত্র প্রদর্শন এবং অস্ত্রসহ চলাফেরা করতে পারবেন না।
এ আদেশ নির্বাচন কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর, আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনাসমূহে নিয়োজিত প্রহরীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরণের নৌযান ও স্পিডবোটের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত থাকবে।
তবে নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/ তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশী/বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি সেবা যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন তারিখ দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার এবং ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি সেবা যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।
শনিবার ১০ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড