খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

বেহাল দশা আবু নাসের স্টেডিয়াম ইনডোরের : বোলিং মেশিন নষ্ট

আল মামুন

প্রায় চার বছর ধরে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নেই আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ। স্টেডিয়ামের গ্যালারি, মিডিয়া বক্স, ইলেকট্রনিক্স স্কোর বোর্ড, প্যাভিলিয়ান ভবন, সাইড স্ক্রিন সব কিছুই ভঙুর অবস্থায়। বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভবও নয় এই ভেন্যুতে। তবে প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ নিয়মিত হচ্ছে এখানে। পাশাপাশি খুলনায় থাকা জাতীয় ক্রিকেটাররাও নিয়মিত অনুশীলন করেন আবু নাসের স্টেডিয়ামে। তবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে আবু নাসের স্টেডিয়ামের ইনডোরটি। দীর্ঘদিন ধরে নস্ট একমাত্র বোলিং মেশিনটি। নেই এডজাস্টার ফ্যান, নস্ট হয়ে গেছে সিনথেটিক টার্ফ। আর ইনডোরের বিভিন্ন গ্লাসও ভাঙা। ফলে এখানে অনুীশলন করতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে ক্রিকেটারদের। আবু নাসের স্টেডিয়াম থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে এবং মৌখিকভাবে এসব সমস্যার কথা জানানো হলেও সামাধান হয়নি ইনডোর সমস্যার।

আবু নাসের স্টেডিয়ামের ইনডোরের সবথেকে বড় সমস্যা বোলিং মেশিন। চাহিদার কারণে গত দুই বছরে কয়েকবার এ স্টেডিয়ামে বোলিং মেশিন পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিবারই ব্যবহার উপযোগী নয়, এমন বোলিং মেশিন পাঠানো হয়, ফলে আবারও ফেরৎ পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত বছর অক্টোবর মাসে বিসিবি থেকে একটি বোলিং মেশিন পাঠানো হয়। শুরুর দিন থেকেই এটি অকার্যকর। আবারও বাক্সবন্দী করে ফেলা হয় বোলিং মেশিনটি। এরপর আবু নাসের স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ মৌখিকভাবে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস এ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে জানালেও পুরোনো বোলিং মেশিনটি ফেরৎ নেয়া বা নতুন করে কোন বোলিং মেশিন পাঠানো হয়নি। ফলে করোনার সময়ে অনুশীলনে এখানে অবস্থানরত জাতীয় ক্রিকেটাররা বোলিং মেশিন ব্যবহার করতে পারেননি। পরবর্তীতে বোলিং মেশিন না থাকাটাও যে কোন দলের অনুশীলনে ব্যহত করবে।

জাতীয় ক্রিকেটার উইকেট রক্ষক ব্যটসম্যান নুরুল হাসান সোহান বলেন, আসলে বিসিবি থেকে খুলনায় যে বোলিং মেশিনগুলো পাঠানো হয় সেগুলো সম্ভবত ব্যবহার করা, ফলে কিছু ত্রুটি থেকে যায়, যদি বিসিবি থেকে নতুন বোলিং মেশিন পাঠাতো তাহলে সমস্যার সামাধান হতো। আমাদের অনুশীলনটা আরও কার্যকর হতো।

বোলিং মেশিন না থাকা ছাড়াও এই ইনডোরের আরেকটি বড় সমস্যা এখানে কোন এডজাস্টার ফ্যান নেই। ফলে অনুশীলনে থাকা ক্রিকেটারদের গরমে বেশী কস্ট হচ্ছে। ক্রিকেটারদের এ চাহিদার কথা সর্বশেষ গত বছর জুলাই মাসে আবু নাসের স্টেডিয়াম থেকে জানানো হয়েছিলো। একই রকম ভাবে টেম্পার নস্ট হয়ে গেছে ইনডোরের সিনথেটিক টার্ফের। ইনডোরের সীমানার প্রায় ১২টি গ্লাস ভাঙা।

আবু নাসের স্টেডিয়ামের ভেন্যু ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, আমাদের ইনডোরে কিছু ফ্যাসিলিটেজর দরকার আছে। তাছাড়া বোলিং মেশিনটিও নস্ট। বিষয়গুলো আমারা মৌখিকভাবে এবং চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত ইনডোরের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

খুলনা গেজেট / এএমআর/ এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!