রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বেরোবি ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মী ও প্রশাসনের বাধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করতে জড়ো হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে পদযাত্রা শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তারা ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এর একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রক্টরের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারীদের হটানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্য হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতেছিলাম। আমাদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমাদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম আন্দোলন না করার নির্দেশ দেন।
বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পরও আন্দোলনকারীরা যেন সড়ক অবরোধ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে আগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবুও তারা পদযাত্রা বের করে ক্যাম্পাস হতে বের হতে চাইলে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দেয়। তখন তাদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অপরিচিত সদস্যরা পেছন থেকে ধাক্কাধাক্কি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
খুলনা গেজেট/কেডি