খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার কমছে, রাজস্ব আদায়ে ধ্বস

বেনাপোল প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ক্রমেই কমে আসছে। ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করায় যাত্রী যাতায়াত কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে গেছে। বেনাপোল দিয়ে ভ্রমণকর বাবদ বছরে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে সরকার। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে যাত্রী যাতায়াত কমে যাওয়ায় এই খাতে রাজস্ব আদায়ে ধ্বস নামতে শুরু করেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বছরে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার রাজাস্ব আসে বেনাপোল দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ কর থেকে। ৫ আগস্টের আগে প্রতিমাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় হতো এই খাতে। বর্তমানে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে রাজস্ব আদায় ৩ কোটিতে নেমে এসেছে। একই সময় আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজারেরও অধিক যাত্রী পারপার হতো এই পথে। বর্তমানে সেই সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে অর্ধেকের নিচে।

বেনাপোল থেকে কোলকাতার দুরত্ব কম হওয়ায় অধিকাংশ পাসপোর্ট যাত্রীরা এই পথে ভারতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকেন। ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী। তবে ট্যুরিস্ট, বিজনেস, স্টুডেন্ট যাত্রীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় বেকায়দায় পড়েছে রোগীরা। ভারত সরকার বিজনেস ভিসা না দেওয়াতে দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্যের উপর প্রভাব পরতে শুরু করেছে।

ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছি।বর্তমানে ভিসার খুব সমস্যা। আবেদনের দীর্ঘদিন পর কোন রকম চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা পেলেও ভ্রমণ ভিসা একদমই নেই। আগামী দিনে আর ভিসা পাব কিনা সন্দেহ আছে।

ভারতগামী যাত্রী সুস্মিতা রানী বলেন, আগে থেকে জানতাম ইমিগ্রেশনে অনেক মানুষজন থাকে। অনেক ভিড় থাকতো। কিন্তু আজ এসে দেখলাম মানুষজন একেবারে নাই বললেই চলে। আমরা খুব নিরিবিলি যাচ্ছি। এখন যেহেতু ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আমাদের ভিসা শেষ পর্যায়ে। পরবর্তীতে আর ভিসা পাব কিনা জানিনা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পূর্বে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় এ্যাম্বেসি ভিসা না দেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!