যশোরে দুদকের মামলায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সাবেক এসআই সাইফুদ্দৌলা দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণের পর তিনি জামিনের আবেদন জানালে বিচারক মোহাম্মদ শামসুল হক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাইফুদ্দৌলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর হোসেনাবাদ গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে। ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ’ নয় টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ আয়ের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় তার স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিনকেও আসামি করা হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম বিপ্লব। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পুলিশের সাবেক এ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর সার্কেলের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাইফুদ্দৌল্লার স্ত্রীর ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৪৫ লাখ টাকা অস্থাবরসহ মোট ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকার সম্পত্তি রয়েছে। যার মধ্যে ৩৫ লাখ টাকার বৈধতা পেলেও ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। পরে মামলাটির তদন্ত উঠে আসে ১৯৯৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত আসামিরা ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ’ নয় টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। যার মধ্যে তারা ৪০ লাখ ৮১ হাজার চারশ’ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
এ মামলার চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, তারা পরস্পর যোগসাজসে সাইফুদ্দৌলা অবৈধ উপায়ে এ টাকার সম্পদ উপার্জন করেছেন। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে আয়কর নথি খুলে বৈধতার চেষ্টা করেছেন। চার্জশিট দাখিলের পর এ মামলা বিচারের জন্য স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ মামলায় স্ত্রী জামিনে থাকলেও সাইফুদ্দৌলা পলাতক ছিলেন। সর্বশেষ রোববার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।