বেনাপোল বন্দরে ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপরাধে রোববার (১২ জুলাই) বেনাপোল কাস্টমসের ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে বাতিল করা হয়েছে ২টি সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলহামদুলিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬৬৫ প্যাকেজ মোটর পার্টসসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে (যার কাস্টমস বি/ই নম্বর-১৪৮২৭ ও তারিখ ২৭/০২/২০)। চালানটি আমদানি হওয়ার পর কাস্টমসের কাছে সংবাদ আসে চালানে বড় ধরনের রাজস্ব ফাঁকি রয়েছে। কিন্ত সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও দু’জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পণ্য চালানটি গোপনে খালাস করে। পরে অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বুঝতে পেরে চালানটির ৪ ট্রাক পণ্য আটকের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩ জন রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগিতায় ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে সরকারের ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হয়।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত কমিশনার অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমানকে বরখাস্ত করেন। রাজস্ব ফাঁকির সিএন্ডএফ এজেন্টস মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মাহিবি এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।
বেনাপোল কাষ্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম তিনজন রাজস্ব কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত ও ২টি সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি রাজস্ব বোর্ডকে অবিহিত করা হয়েছে।