যশোরের বেনাপোলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে একজন কর্মী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৭ জুন) রাতে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আব্দুল হাই (৫০)।
এদিন সকালে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে বিএনপির দুই পক্ষের গোলোযোগের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে দাবি গ্রামবাসীর। আর পুলিশ বলছে, খুনিদের আটকে তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। আব্দুল হাই স্থানীয় ডুবপাড়া গ্রামের মৃত হারান কুমারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আব্দুল হাই শনিবার রাত ৯টার দিকে ডুবপাড়া জামতলা মোড়ে আব্দুর রহমান নামে একজনের সাথে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। ককটেলটি আব্দুল হাইয়ের পিঠে লেগে বিস্ফোরিত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় নাভারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ বলেন, ডুবপাড়া স্কুল মহল্লার বিএনপি কর্মী আবু সাঈদের নেতৃত্বে এই ককটেল হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, সকালে ঈদের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজনকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে ডুবপাড়া ঈদগাহ মাঠ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন আবু সাঈদসহ বিএনপি’র স্থানীয় কয়েক নেতাকর্মী। আব্দুল হাইসহ অন্যান্যরা এতে বাধা দেন। এ নিয়ে বিএনপি’র দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুপুরে আব্দুল হাইকে ফের হুমকি দেয় আবু সাঈদ।
শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, দলের ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মী আব্দুল হাই। ন্যায়পরায়ন এই কর্মীর সাথে দুপুরেও গোলযোগ হয় সাঈদসহ তার পক্ষেও কয়েক কর্মীর। রাতে কারা তাকে হত্যা করেছে গ্রামবাসী তা স্বচক্ষে দেখেছে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল ) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, আব্দুল হাই খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ খুনিদেরকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে