পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দুই যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিগোগ উঠেছে। আহত দুই যুবকের মধ্যে মোঃ জনি মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নাভারন ও পরে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মিলনের শশুর আজিবার রহমান ভুট্টো (৫৫) ও চাচা শশুর আলী আহম্মেদ নেদো (৫৬) কে পুলিশ আটক করেছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে। আহত ওসমান হোসেন খোকার ছেলে মিলন হোসেন (৩৫) ও দাউদ আলীর ছেলে জনি মিয়া (৩৪)।তারা উভয় সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলন তার স্ত্রীর সাথে গত রাতে ঝগড়া হয়। এ মিলন তার স্ত্রীকে একটা চড় মার। পরে আজ দুপুরে মিলনের শশুর বাড়ির লোকজন জেনে যায় তার মেয়েকে জামাই মিলন মারধর করেছে। এ খবর পেয়েই মিলনের স্যালক আবুবক্কার এসে মিলনকে বাটখারা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় প্রতিবেশী জনি ঠেকাতে গেলে তাকে আবু বক্কার, ফারজেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দা, দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ধারালো দা দিয়ে জনির মাথায় আঘাত করলে দা জনির মাথার মধ্যে ঢুকে যায় এবং প্রচুর রক্তপাত হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাভারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। সে বর্তমানে যশোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মিলন এর পিতা ওসামন হোসেন খোকা বলেন, তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুক্কার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করে। এবং দায়ের কোপে জনিকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত করে। এবং মিলনকে বাটখারা দিয়ে পিটিয়ে ও গুরুতর আহত করে। তিনি বলেন তার দোকানে রাখা ২ লাখ টাকা ও বেচা কেনার অর্থ ওই দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই রোকন বলেন এ ব্যাপারে থানায় দাউদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আসামিরা হলো ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল মিয়ার ছেলে আলী আহম্দে নেদা (৫৬) তার ভাই আজিবার রহমান ভুট্রো (৫৮), ভুট্রোর ছেলে আবু বক্কার (৩৫) এবং খোদাবক্সের ছেলে ফারজেল হোসেন (৪০)। এর মধ্যে নেদা ও ভুট্রোকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফারজেল হোসেন জনিকে কুপিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালাতে গেলে তাকে ভারতের জনগন পিটিয়ে আহত করে বাংলাদেশে সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করে। ফারজেল ও গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আহত জনির পিতা বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২১, তারিখ, ১২/০৯/২০।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ