সাতক্ষীরায় বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর ভরাট রোধ ও জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কমাতে সরকারের গৃহিত প্রকল্পে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) অর্ন্তভূক্তির দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে কেন্দ্র্রীয় পানি কমিটির আয়োজনে এক নাগরিক সমাবেশ শনিবার সাতক্ষীরা লেকভিউ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন উত্তরণের পরিচালক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম সফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মোঃ আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম।
বক্তৃতা করেন জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, নিউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাংবাদিক রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী, এড. ফাইমুল হক কিসলু, এড. আজাদ হোসেন বেলাল, কমরেড আবুল হোমেন, আলী নূর খান বাবুল, এড.শাহানাজ পারভিন মিলি প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর ভরাট রোধ ও জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কমাতে সরকার ৪ বছর মেয়াদী ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘ মেয়াদী কোন সুফল বয়ে আনবে না এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ কোন কাজে আসবে না।
বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, আশাশুনি ও তালা উপজেলার নদীগুলো পলি ভরাটের কারণে মৃতপ্রায়। বর্তমানে এসব এলাকায় প্রতিবছর প্রায় ৬ থেকে ৮ মাস জলাবদ্ধতা থাকে। চলতি বছরেও জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। খাবার পানির সঙ্কটও চলছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের অভাবে কাজের সন্ধানে এলাকার মানুষ স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে এলাকা ত্যাগ (অভিবাসিত) করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম