কন্ডিশন থেকে বেশ সহায়তা পাচ্ছিলেন ইংলিশ পেসাররা। তাদের দারুণ বোলিংয়ে রান আসছিল না সহজে। সংগ্রাম করতে হচ্ছিল সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। বাবর আজম ক্রিজে যেতেই যেন পাল্টে গেল সব। বৃষ্টি ভেজা দিনে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণেরর সামনে নিজের সামর্থ্য দেখালেন পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ম্যানচেস্টার টেস্টর প্রথম দিনের প্রায় অর্ধেক সময়ের খেলা নষ্ট হয়েছে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায়। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২ উইকেটে ১৩৯ রানে বুধবার দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। ওপেনার শান মাসুদ ৪৬ ও বাবর ৬৯ রানে ব্যাট করছেন। সব মিলিয়ে দিনটা ভালোই কেটেছে পাকিস্তানের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল সাবধানী। দুই অভিজ্ঞ পেসার জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে দেখেশুনে খেলে পার করে দেন মাসুদ ও আবিদ আলি।
স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য আসে জফ্রা আর্চারের হাত ধরে। পা বাড়াতে একটু দেরি করে ফেলা আবিদ বোল্ড হয়ে যান গতিময় এই পেসারের চমৎকার এক ডেলিভারিতে।
উপমহাদেশের বাইরে সময়টা ভালো না কাটানো আজহার আলি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ক্রিস ওকসের ভেতরে ঢোকা বলে ফিরেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
শুরুতে একটু সময় নেওয়া বাবর দারুণ সব ড্রাইভে এগোতে থাকেন দ্রুত। অন্য প্রান্তে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সঙ্গ দেন মাসুদ। ভাগ্যেরও একটু ছোঁয়া ছিল তার ইনিংসে। ৪৫ রানে দুইবার জীবন পান তিনি। দুই ক্ষেত্রেই বোলার ছিলেন অফ স্পিনার ডম বেস। প্রথমবার ক্যাচ ছাড়েন কিপার জস বাটলার, পরেরবার স্টাম্পিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
ইংলিশদের পেস-স্পিন সবই সাবলীলভাবে সামলেছেন বাবর। ৭০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১০০ বলে ১১ চারে খেলছেন ৬৯ রানে। তার সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়া মাসুদ ৭ চারে ৪৬ রান করতে খেলেছেন ১৫২ বল।
খুলনা গেজেট/এএমআর