নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৭২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ৪৫ বছর বয়সী আবুল হোসেন সানাজকে রোববার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা সানাজ ও ইউপি সদস্য তানভীরসহ আটজনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন ইউপি সদস্য মো. রিপন। রিপন শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী নামের ওই বৃদ্ধের ছেলে।
মামলায় বলা হয়, নাছির এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করতে গেলে সানাজ ও তানভীর চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে তার ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়। কিছুদিন মসজিদের কাজ বন্ধও রাখা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ এবং আদালতে মামলা করেন তিনি।
এরপর গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাছির বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হাট-সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসার পাশে সানাজের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন তার মুখে গামছা প্যাঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
এরপর তার পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। নাছির জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে ঝোপে ফেলে রেখে যায়। জ্ঞান ফেরার পর তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। শনিবার সকালে নাছিরকে ভর্তি করা হয় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর রোববার বেলা ২টার দিকে বৃদ্ধের পায়ুপথ থেকে টর্চলাইটটি বের করা হয়। নাছির এখন শঙ্কামুক্ত।
ওসি দেবপ্রিয় বলেন, ‘প্রধান আসামিকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই