পুলিশ নিয়ে ভালোমন্দ কত কথাই তো চালু আছে। তবে এর বাইরে সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা চলছে এক নারী পুলিশের কীর্তিকে ঘিরে। সদ্য পুলিশে চাকরি পাওয়া বর্ষা নামের তরুণী প্রশংসায় ভাসছেন। ভাইরাল হয়েছে তার ছবি, ভিডিও।
ঘটনা গুজরাটের কচ্ছের। মরুভূমি এলাকা। গ্রীষ্মের গরমে জীবন অতিষ্ঠ যেখানে। এমন আবহাওয়ায় রামকথা অনুষ্ঠান হচ্ছিল এলাকার ঢোলাভিরা গ্রামের ভঞ্জদা দাদার মন্দিরে। সে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধা। সেখানে পুলিশকর্মীর দায়িত্ব পালন করছিলেন বর্ষা পারমার। বয়স ২৭ বছর। রামকথা শুনে বৃদ্ধা চলেও যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে মরুভূমি পাড়ি দিতে গিয়ে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শোনামাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান বর্ষা।
একজন কিছুটা সুস্থ হলেও বর্ষা গিয়ে দেখেন বালির উপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে বৃদ্ধা। কালবিলম্ব না করে তাকে নিজের পিঠে তুলে নেন বর্ষা। যেখানে কোনো যানবাহন চলে না।
টানা পাঁচ কিলোমিটার মরুভূমির প্রচণ্ড রোদে হাঁটতে শুরু করেন। পৌঁছে দেন বৃদ্ধাকে নিরাপদ স্থানে।
দৃশ্যটির ভিডিও দেখে গোটা দেশ এই পুলিশকর্মীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করে বর্ষার প্রশংসা করেছেন। তাকে বিশেষ পুরষ্কারে সম্মানিত করার কথাও আলোচনায় এসেছে।
কেন এই কঠিন কাজটি করলেন বর্ষা? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ষা জানিয়েছেন, তিনি কিছু পাওয়ার জন্য এসব করেননি। বলেন, “দেখলাম উনি হাঁটার মতো অবস্থায় নেই। মরুভূমিতে যানবাহন পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। একজন পুলিশকর্মী হিসাবে এটুকু সাহায্য করা আমার কর্তব্য।
গুজরাট পুলিশের টুইটার পেজেও এই ভিডিও শেয়ার করে এটিকে পুলিশের গর্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নেটিজেনরা লিখেছেন- সবার এমন মানবিক হওয়া উচিৎ। স্যালুট জানিয়েছেন বর্ষাকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই