রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে যাত্রীসহ ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে নৌ-পুলিশ। এর আগে, বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীর উঠতে পারলেও এখন পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এবং কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।
রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাজাহান সরদার বলেন, রাত ৮টা ১৫ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে কেরানীগঞ্জ থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাট এলাকায় একটি ওয়াটার বাস যাত্রীসহ ডুবে গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের ২টি ও সিদ্দিকবাজার থেকে ১টি ইউনিট ডুবুরিসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এটি তীরের কাছাকাছি ডুবেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অধিকাংশ লোক তীরে উঠে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ পুরুষ এবং ১ শিশুকে।
এদিকে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রশিদ উন নবী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, পুলিশ লাশ হস্তান্তর শুরু করেছে।’ তবে সদরঘাট নৌ থানা সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি