ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে রাজ্যটির বৈশালী জেলায় ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক চাপা দিলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তর বিহার জেলার দেসরি থানা এলাকায় রোববার রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মূলত ‘ভূমি বাবা’ নামে পরিচিত স্থানীয় এক দেবতার কাছে প্রার্থনা করার জন্য ধর্মীয় শোভাযাত্রাটি রাস্তার পাশে একটি ‘পিপল’ গাছের সামনে জড়ো হয়।
এরই একপর্যায়ে দ্রুতগামী ট্রাক শোভাযাত্রাটির ওপরে উঠে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মোদি বলেছেন, ‘বিহারের বৈশালীর দুর্ঘটনাটি দুঃখজনক। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা। আহতরা শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠুক। পিএমএনআরএফ (প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল) থেকে প্রত্যেক মৃতের আত্মীয়কে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
এছাড়া ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং দুর্ঘটনার খবরকে ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বৈশালীর পুলিশ সুপার মনীশ কুমার বলেন, ‘বিয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রথার অংশ হিসেবে এই শোভাযাত্রাটি বের করা হয়েছিল। পাশ্ববর্তী সুলতানপুর গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে কয়েকদিনের মধ্যে একটি বিয়ের কথা ছিল। তবে পাশের মাহনার-হাজিপুর মহাসড়ক দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের ভেতরে আটকা পড়েছেন এবং আমরা আশঙ্কা করছি, তিনি মারা যেতে পারেন।’
নিহতদের মধ্যে অন্তত চার শিশু রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।