বিশ্বকাপের পর হঠাৎ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসায় বৈঠকে বসছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বৈঠকে তামিম নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বোর্ডকে চূড়ান্তভাবে জানাবেন বলে শোনা গেছে। বৈঠকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের থাকার কথা রয়েছে।
তামিমের ফেরা হোক বা না হোক, সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে তার ওপর বেশ বিরক্ত বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক প্যানেল ও বিসিবির নীতিনির্ধারকরা। বিসিবির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কেউ কেউ মনে করেন, বিশ্বকাপে দলের পারফম্যান্সের চেয়েও তামিমের ঘটনাগুলো তাদের বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এই অবস্থায় তাকে ফেরাতে বোর্ড খুব বেশি তৎপর হবে কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
ঘটনার সূত্রপাত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই। তামিমের ইনজুরি নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার পছন্দ হয়নি প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। বিষয়টি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানকে অবহিত করলে তিনিও তামিমের ওপর ক্ষিপ্ত হন। বাঁহাতি ব্যাটারও বিরক্ত হয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। যদিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এর পর ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ এ ওপেনার। কিন্তু দল ঘোষণার দুই দিন আগে ঘটনাপ্রবাহ পাল্টে যায়। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান ফোন দিয়ে তামিমকে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি এটাও জানান, সব ম্যাচে তামিমকে খেলানো হবে না। এসব বিষয় ভালোভাবে নিতে পারেননি দেশসেরা এ ওপেনার। এ কারণে বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান।
বিশ্বকাপের আগে তামিমের ইনজুরির যে অবস্থা ছিল, তাতে করে সব ম্যাচে তাকে পাওয়া যেত না। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব ও কোচ হাথুরুসিংহে হাফফিট কিংবা আনফিট কাউকেই নিতে চাননি। এক সাক্ষাৎকারে সাকিব তো বলেই দিয়েছেন, পুরো ফিট না হয়ে খেলা মানে দেশের সঙ্গে প্রতারণা করা। এসব ব্যাপার তামিম ভালোভাবে নেননি। ফলে সাকিবের নেতৃত্বে ও হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে তার ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
খুলনা গেজেট/এনএম