করোনায় শুধু অকাতরে মানুষের প্রাণহানিই ঘটেনি। অর্থনৈতিক মন্দাও নেমে এসেছে। যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াঙ্গনও। বিশ্বের অনেক বড় বড় ক্রীড়া আসর স্থগিত না হয় বন্ধ কিংবা পিছিয়েছে। আবার অনেক ধনাঢ্য ফেডারেশনও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সংশয় ছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) করোনার ভয়াল থাবার শিকার হতে পারে। বিসিবির আয় কমে গেলে একটা অর্থনৈতিক সংকটও দেখা দিতে পারে। তবে আশার খবর, সেটা হয়নি।
বিসিবি এখনও ক্রিকেটারদের পাওনা, মাসিক বেতন-ভাতা ও বোনাস এবং ম্যাচ ফি ঠিকমতই দিয়ে যাচ্ছে। কাজেই ধরে নেয়া যায়, বিসিবি অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বচ্ছল।
কিন্তু কতটা স্বচ্ছল? বোর্ডের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার একটি চিত্র দেখালেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ (শনিবার) তিনি জানিয়েছেন বোর্ডের ফিক্সড ডিপোজিটে (এফডিআর) এখনও ৯০০ কোটি টাকা গচ্ছিত আছে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিসিবি প্রধান এ তথ্য দিয়েছেন। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, আবাহনী পরিচালক, বিসিবির সাবেক পরিচালক, বিপিএল গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিসিবি ফিন্যান্স কমিটির প্রধান প্রয়াত আফজালুর রহমান সিনহার স্মৃতিচারণ বক্তব্যে পাপন বলেন, ‘দিনকে দিন বোর্ডের খরচ অনেক বেড়েছে। জাতীয় দলের একঝাক বিদেশি কোচিং স্টাফের মোটা অংকের বেতন, সাথে আনুষাঙ্গিক খরচও আছে। তারপরও বিসিবির অর্থনৈতিক ভিত মজবুত। এখনও আমাদের ৯০০ কোটি টাকা এফডিআর আছে।’