৪৪তম বিসিএসে আগের মৌখিক পরীক্ষা বাদ ও ৪৬তম বিসিএসের ফল আবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার সরকারি কর্ম কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পিএসসি জানায়, নতুন কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও ৮ জন সদস্য কমিশনের সভায় ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। কমিশন পরীক্ষাগুলো স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।
এদিকে ৪৪তম বিসিএসে আগের মৌখিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে এই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ প্রার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ২৫ আগস্ট এই মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে।
আগের কমিশনের নেওয়া ৪৪তম বিসিএসের ৩ হাজার ৯৩০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এখন এই বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগির মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
পিএসসি জানায়, নতুন কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও ৮ জন সদস্য কমিশনের সভায় ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। কমিশন পরীক্ষাগুলো স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি