রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। শনিবার (৫ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে। টুইট করে দেশটির নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের সফল এ পরীক্ষার কথা জানানো হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তা কতটা কার্যকর সেটি দেখার জন্য এ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ পরীক্ষা সফল হয়েছে। সফল উৎক্ষেপণের পর নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে টুইটে লেখা হয়, ‘দূরপাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ যে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে, এ দিনের পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত করা গেছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের জন্য আরও একটি মাইলফলক।’
গত মাসেই একটি নতুন প্রযুক্তির ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ওড়িশার বালাসোর উপকূলে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ হয়। তার আগে আরও একটি ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। যেটি সমুদ্রযুদ্ধে বিশেষভাবে কার্যকরী বলে জানা গেছে। শত্রুপক্ষের সাবমেরিন বা জাহাজে নির্ভুল নিশানায় আক্রমণ করতে পারদর্শী ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
Long range precision strike capability of Adv version of #BrahMos missile successfully validated.
Pin point destruction of tgt demonstrated combat & mission readiness of frontline platforms.
Yet another shot in the arm for #AatmaNirbharBharat#IndianNavy #CombatReady & #Credible pic.twitter.com/NKl3GoHwbB— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 5, 2022
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এ ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার ২০০৫ সালে তৈরি হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। সম্প্রতি ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভারত ব্রহ্মস কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
ব্রহ্মসকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মনে করা হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নামে। শব্দের তুলনায় প্রায় তিন গুণ দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলই নয়, এর উচ্চগতির কারণে এটিকে রাডারও ধরতে অক্ষম।
খুলনা গেজেট/ এস আই