খুলনায় বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে অ্যাডভোকেসি সভা আজ সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন, বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সফলতার কারণে সাধারণ মানুষ এখন আগ্রহসহকারে শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তবে করোনা অতিমারী চলাকালে টিকাদান কর্মসূচি কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। ওই সময়ে টিকার ডোজ হতে বাদপড়া শিশুদের টিকার আওতায় নিয়ে আসাই বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য। জনবল সংকটসহ বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও খুলনা জেলায় টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস অতিমারী চলাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নিয়মিত কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হয়। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশে টিকার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে থাকা রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব পুনরায় লক্ষ্য করা যায়। এই ঝুঁকি হতে রক্ষা পেতেই বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের এই আয়োজন। বর্তমানে দেশে শিশুদের পূর্ণ টিকাদান কাভারেজ জাতীয় পর্যায়ে ৯৬ শতাংশ। সন্তান ধারণক্ষম নারীদের টিডি-৫ টিকাদান কাভারেজ জাতীয় পর্যায়ে ৮০ শতাংশের বেশি। দেশে পোলিও এবং মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার মুক্ত অবস্থা বজায় রয়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশ হতে হাম, রুবেলা ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম দূর হবে বলে আশা করা যায়। করোনার কারণে দেশে ২০২১ সালে টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ছিলো ৫৯ হাজার ১০৭ জন যা ২০২২ সালে কমে ২৪ হাজার ১৮৮ জনে নেমে আসে আবার আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ২০২১ সালে ছিলো প্রায় ১০ লাখ, যা ২০২২ সালে তিনলাখ ১৮ হাজার ৭৬০ এ নেমে আসে।
সভায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শামসুদ্দীন মোল্লা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এসএম আল-বেরুনী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমানসহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম