বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃত মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩২ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৫ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৭ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬১ হাজার ৯০৮ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ১৩০ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৭১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৮ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬০ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ পর্যন্ত করোনায় মোট ৮ হাজার ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে গত বছরের ১১ জানুয়ারি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।
গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
খুলনা গেজেট/কেএম