খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত ৭ লাখ, মৃত্যু ১৩০০

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩০০-র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটির মাইলফলক। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার।

বুধবার (২৯ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ছয় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ কোটি ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪০৬ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৩ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিলে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭০ হাজার ১৬৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২২ লাখ ৭ হাজার ৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৪৮ জন এবং মারা গেছেন ২৬৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ৭২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৪ জন মারা গেছেন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪২৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৮ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৪১২ জন এবং মারা গেছেন ১১৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৮০ হাজার ১২৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে কানাডায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ১০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২ জনের। একইসময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭১০ জন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৩ জন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৪ জন মারা গেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬১ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫১৭ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!