বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার এবং আক্রান্ত ১২ কোটি ৬৭ লাখ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৩৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪১ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৭ জন।
ব্রাজিলে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশটিতে রেকর্ড ৩ হাজার ৬শ’ প্রাণ গেছে একদিনে। সাড়ে ৮২ হাজারের ওপর নতুন আক্রান্ত শনাক্ত। ৩ লাখ ৭ হাজার ছাড়িয়েছে দেশটির মোট প্রাণহানি।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১ হাজার ২১৬ জনের। ৫ লাখ ৬১ হাজারের ওপর মোট মৃত্যু। নতুন আক্রান্ত শনাক্ত প্রায় ৭৪ হাজার। শুক্রবার ৬শ’য়ের কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে স্পেন ও মেক্সিকোয়।
এছাড়া ইতালি ও পোল্যান্ডে মারা গেছে সাড়ে চারশ’র মতো মানুষ। বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট প্রাণহানি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭৭০। মোট সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার।
দেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে চার সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
খুলনা গেজেট/কেএম