ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এ রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল বেশি।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুক্রবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৯ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১০ হাজার ২৬৬ জনের।
আগের দিন বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৬ জন এবং করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ হাজার ৯২৭ জনের।
বরাবরের মতো শুক্রবারও দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই দিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৩ জন এবং এই রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ৬৮৩ জন।
এছাড়া এই দিন বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার লক্ষ্য করা গেছে, সেসব দেশ হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৩, মৃত ২৬৩), ভারত (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ১৪২, মৃত ৮৬২), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯, মৃত ৭৭৯), জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৪, মৃত ১৭৯), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৮, মৃত ৩৭৮), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২২, মৃত ১৯৯) ও রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৯৮ হাজার ৪০, মৃত ৬৭৩)।
শুক্রবারের পর বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৭ জনে এবং করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৯ জন। বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার ৬০৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৭ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৪৬৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৯৫ হাজার ১৩৭ জন।
এছাড়া, এইদিন বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। এর ফলে বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৪ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।