২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু ও সুস্থতার হার হ্রাস পেয়েছে। করোনায় বিশ্বের দেশসমূহে প্রতিদিন আক্রান্ত-মৃত্যু ও সুস্থতার সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৭২ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৯৯ জন এবং এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৯ জন।
আগের দিন, বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৪৭ জন, মৃতের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ১৪ জন এবং সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৫ লাখ ৪২ হাজার ১১৭ জন।
অর্থাৎ, হিসেবে দেখা যাচ্ছে- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বজুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৯ হাজার ২৭৫ জন, মৃতের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ১৫ জন এবং সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা কমেছে ৩১ হাজার ৭৬৮ জন।
গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এবং মৃত্যুতে শীর্ষে আছে করোনার এশীয় উপকেন্দ্র (এপিসেন্টার) হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দেশ ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
ওয়ার্ল্ডোমিটর্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ১০৮ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৯ জনের।
অন্যদিকে, একই দিন ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪৮ জন মানুষ এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়া ব্যতীত শুক্রবার বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে, সে দেশসমূহ হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৩৭ হাজার ৩১৪, মৃত্যু ১১৪), ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ২৯৬, মৃত্যু ৩৭৬), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ৩৩ হাজার ৮৮৭, মৃত্যু ৯২৫), ইরান (নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৮৩৩, মৃত্যু ৫৫৫), জাপান (নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার ১৫৫, মৃত্যু ৩৩), মেক্সিকো (নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ৬, মৃত্যু ৮৫০), মালয়েশিয়া (নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ৫৬৪, মৃত্যু ২৩৩), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৩১৯, মৃত্যু ৮৩), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ৯৯২, মৃত্যু ৭৮৫), থাইল্যান্ড (নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৮১৫, মৃত্যু ২৪০) এবং তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৯১৮, মৃত্যু ২০৪)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ৮৩৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৭৬৩ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২১ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার ৮০৫ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৩১ জন।
এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও এই এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ডব্লিউএইচও ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ।
খুলনা গেজেট/কেএম