করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৪ হাজার।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৭১ হাজার। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ লাখ ৩৩ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৩৩ হাজার ৩২১ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৫ জন। এতে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৫ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৬ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৬ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪ জন, রাশিয়ায় ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৫৬৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জন, ইতালি ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৬৭০ জন, তুরস্কে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৬৯ জন, স্পেনে ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৯ জন, জার্মানি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ২০১ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ২ হাজার ৮৫৮ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৮ হাজার ২৩২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৪২৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ১৯ হাজার ২৩৮ জন, তুরস্কে ৩৮ হাজার ৩৫৮ জন, স্পেনে ৭৭ হাজার ৬৮৯ জন, জার্মানিতে ৮২ হাজার ২৩৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৩ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।
খুলনা গেজেট/কেএম