চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার লোক।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় একশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে তিন হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৪৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১২০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার ৭৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৪ হাজার ৭১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ২২২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮৩৬ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১০৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৭ জনের। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭২ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ১৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৮৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৫২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৫ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫২৩ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লাখ ৪১ হাজার ৩৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।