শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন যত মানুষ, এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তার চেয়েও অধিক সংখ্যক। এছাড়া এই দিন বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৯১০ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের জানিয়েছে এ তথ্য। ওয়েবসাইটটির হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৩ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৯২ জন।
শুক্রবার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় শুক্রবার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৮ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন মারা গেছেন ১৮৬ জন।
অন্যদিকে এই দিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ জনের এবং দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৮৬ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার এ দিন দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জন, মৃত্যু ২৫২ জন), ভিয়েতনাম (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৭ জন, মৃত্যু ৯৭ জন), রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৮৯ হাজার ১৭৪ জন, মৃত্যু ৭৭৬ জন), জাপান (নতুন আক্রান্ত ৭০ হাজার ৯৫৮ জন, মৃত্যু ২৫৭ জন), ব্রাজিল (৬৮ হাজার ১০১ জন, মৃত্যু ৬৯৭ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৭৮৯ জন, মৃত্যু ১৮১ জন) ও যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৪৪ হাজার ৭৪০ জন, মৃত্যু ১১০ জন)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৮ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৭১ হাজার ৮৭১ জন।
শুক্রবারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৭০৭ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৬০ লাখ ৯ হাজার ২১৩ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।