সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ সুপার লিগের প্রথম সিরিজ নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অনেকটাই উন্নতির লক্ষণ দেখালো আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যামফোরের আরেকটি লড়াকু ফিফটিতে তারা করলো ৯ উইকেটে ২১২ রান। এটাই তাড়া করতে গিয়ে মাঝখানে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আবার সেই ঠান্ডা মাথার স্যাম বিলিংস সহজেই জয়ের তীরে পৌঁছে দিয়েছেন দলকে। ব্যাট হাতে এ ম্যাচে তার সঙ্গী বাঁহাতি পেসার ডেভিড উইলি।
আগের ম্যাচে ১৩৩ বল হাতে রেখে জয়, এ ম্যাচ ৪ উইকেটে জিততে বাকি থাকলো ১০৫ বল। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০। আইসিসির বিশ্বকাপ সুপার লিগের প্রথম সিরিজটা পকেটে পুরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা শনিবার দেখালো আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা ওই বলের ব্যবধানের মতোই বিশাল।
ইংল্যান্ড জিতবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বকাপের পর পৃথিবীর প্রথম ওয়ানডে সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তাদের শ্রেষ্ঠত্বকে কীভাবে তুলে ধরে। প্রথম ম্যাচে দেখা গেছে উইলির পেস। এ ম্যাচ দেখলো জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটের ‘সহিংসতা’। উইকেট পড়েছে পড়ুক, বেয়ারস্টোর ব্যাট থামেনি। শর্ট , ফুল বা গুড লেন্থের বলে সমানে বাউন্ডারি মেরেছেন। দীর্ঘদেহী তরুণ পেসার জস ‘লিটলের’ বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪১ বলে করেছেন ৮২। স্ট্রাইক রেট ঠিক ২০০, ইংল্যান্ডের রান রেট তখন ৮-এর বেশি! ১৪টি চারের সঙ্গে দুই ছক্কার একটি তাকে ২১তম বলে এনে দিয়েছে ফিফটি, যেটি ইংল্যান্ডের হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুটের সমান ৭২ ইনিংসে ৩০০০ রান পেরিয়ে গেছেন বেয়ারস্টো।
টেস্ট দল থেকে বাদ পড়াটা তাকে যে খুব তাতাচ্ছে, ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেওয়ার পর সেটি স্কাই স্পোর্টসকে সরাসরি বলেই দিয়েছেন ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
বেয়ারস্টো যান দলের ১৩১ রানে। তার আগে ৯৮ রানে ৩ উইকেট গেছে ইংল্যান্ডের। দলকে ১৩৭ রানে রেখে পর পর বিদায় অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও মঈন আলীর। দুজনই শূন্য রানে ওই লিটলের শিকার। এর আগে স্কোরবোর্ডে কোনও রান না উঠতেই ওপেনার জেসন রয়কে আউট করেন পেসার ক্রেগ ইয়ং।
অন্য কোনও অভিজ্ঞ দল প্রতিপক্ষকে এমন অবস্থায় পেলে আরও নাকাল করতে পারতো। কিন্তু আয়ারল্যান্ড আর কী করবে! তাই অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৭৯ রানের অসমাপ্ত জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছেন বিলিংস ও উইলি। ৬১ বলে ৪৬ করে অপরাজিত থাকেন বিলিংস, আক্রমণাত্মক উইলির ৪৭ রানের ইনিংসটি ৪৬ বলে গড়া।
৬০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন লিটল।, ব্যাটিংয়ের ত্রাতা ক্যামফারের পেস বোলিংয়ে শিকার ২ উইকেট। এর আগে ক্যামফার ৬৮ রান করার পথে সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে সিমি সিং ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে দুটি ফিফটি রানের জুটিতে আইরিশদের নিয়ে যান দুশো রানের ওপারে। একমাত্র মঈন আলী ছাড়া সব ইংলিশ বোলারই উইকেট পেয়েছেন। সফলতম লেগস্পিনার আদিল রশিদ, ৩৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএমআর