বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে অভিজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম মুশফিকুর রহিম। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ওপর দলের প্রত্যাশা বেশি থাকবে। সবার প্রত্যাশার চাপ সামলে সামনে থেকে পারফর্ম করতে চান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দলের চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করতে মুখিয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৩ গড়ে মুশফিক পাঁচ ইনিংসে করেন কেবল ৩৯ রান। নিজের ছন্দহীনতা বুঝতে পেরে ‘এ’ দলের হয়ে খেলেন তিনি। বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার আগে এইচপি দলের বিপক্ষে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন তিনি। আরেকটি খেলেন ৫২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। সবমিলে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই ওমানের বিমান ধরবেন মুশফিক।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গণমাধ্যমকে মুশফিক বলেন, ‘চার-পাঁচটা বড় টুর্নামেন্ট খেলেছেন, এমন একজনের ওপর অবশ্যই সবার প্রত্যাশা একটু চাপ সৃষ্টি করবে। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি এবং দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠে না, আবার অনেক সময় দলের জন্য যতটুকু দরকার তা দিতে পারি, যেটা খুব ভালো ব্যাপার। আশা করছি, বিশ্বকাপে আমি যেন সামনে থেকে পারফর্ম করতে পারি এবং দলের চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করতে পারি।’
বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন মুশফিক, ‘আইসিসি ইভেন্ট বা সাধারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশের হয়ে যেকোনো ম্যাচই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি সুযোগ পেয়ে গর্বিত, সবার তো এমন সুযোগ হয় না।’
নিজের প্রস্তুতি নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমার আসলে রানে খুব বেশি নজর ছিল না। ইচ্ছা ছিল ম্যাচের মধ্যে যেন থাকতে পারি। কারণ, নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে আমি শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম প্রায় আড়াই-তিন মাস আগে। (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) টেস্টের পর চলে আসি পরিবারের কারণে। ম্যাচের মধ্যে না থাকলে ওই প্রতিযোগিতা, হাই ইন্টেন্সিটি বা প্রস্তুতিটা হয় না। যতই ব্যক্তিগত বা দলের সঙ্গে অনুশীলন করি না কেন, যতদিন ম্যাচ না খেলবেন আসল প্রস্তুতিটা হয় না। এইচপি দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা অনেক ভালো… তো, প্রতিযোগিতামূলক একটা পরিস্থিতি যেন তৈরি হয়, সেখানে যেন চাপ থাকে, সেই চাপটা যেন আমি কাজে লাগাতে পারি। এই একটা সুযোগ খুঁজছিলাম। ধন্যবাদ বিসিবিকে যে তারা এই সুযোগটা করে দিয়েছে এবং আমি দুটো ম্যাচ খেলেছি। কিছু সময় কাটাতে পেরেছি যেটা আমার প্রস্তুতির জন্য একটু হলেও কাজে দেবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম