দুই বাংলার বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক আজহারউদ্দিন খান (৯১) প্রয়াত।মঙ্লবার রাতে মেদিনীপুরের বাসভবনে তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি চিরঘুমেই চলে গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের গবেষণা জগতের একটি যুগের অবসান হল। বিশেষ করে নজরুল গবেষণা জগতের ক্ষেত্রে। বিশিষ্ট এই গবেষকের মৃত্যুতে দুই বাংলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তার বেড়ে ওঠা, শিক্ষা জীবন ও কর্মজীবন সবটাই মেদিনীপুর শহরে।১৯৩০ সালে তিনি এই শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। একজন গ্রন্হাগারিক হিসাবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বামপন্থী মতাদর্শী হওয়া সত্ত্বেও কাউকে খুশি করার জন্য তিনি কলম ধরেননি। আর স্বতন্ত্রভাবে গবেষণার জন্য তিনি একটি বিশেষ স্হান করে নিয়েছিলেন।
তার গবেষণার নমুনাগুলি হল, বাংলা সাহিত্যে নজরুল (১৯৫৪), বাংলা সাহিত্যে মোহিতলাল (১৯৬১), বাংলা সাহিত্যে মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ (১৯৬৮), বাংলা সাহিত্যে মুহাম্মাদ আব্দুল হাই (১৯৭৬), মাঘ নিশীথের কোকিল (১৯৮৬), গ্যেটে ও বাংলা সাহিত্য (১৯৮৩), মেধাবী নীলিমা (১৯৯০), দীপত আলোর বন্যা (১৯৯৮) প্রভৃতি। যে সব গ্রন্হ তিনি সম্পাদনা করেছেন সেগুলি হল মোহিতলালের পত্রগুচ্ছ (১৯৬৯), বিদ্যাসাগর স্মারকগ্রন্থ শরৎবীমা (১৯৭৯), বীক্ষণী (১৯৫৯), মিডনাপুর এ্যাট গ্ল্যান্স আইকস (১৯৮২)। তার কর্মকাণ্ড বিশাল যা বলে শেষ করা যাবে না। বহু গ্রন্থের ভূমিকাও তিনি লেখেন। শব্দের মিছিল নামে একটি পত্রকাও তিনি সম্পাদনা করেছেন। ভারত-বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি পুরস্কারও পেয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম