মণিরামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে আমেনা খাতুন (১৬) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। তিন তলার ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে বিল্ডিং-এর কার্নিশ ঘেঁষে নির্মাণ করা ৩৩ হাজার কেভি’র তারে স্পর্শ লেগে এ দুর্ঘটনা হয়। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা রাজগঞ্জ বাজারে এমন ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিল্ডিং মালিক ও বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকারী পল্লীবিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নিহত আমেনা খাতুনের পিতার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায় এবং শশুর বাড়ি যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল বারোবাজার বড় হৈবতপুর গ্রামে। স্বামী ফরহাদ হোসেন মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে একটি মিষ্টির হোটেলের শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রী রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মাহবুর রহমানের তিনতলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সাত মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। ঘটনার সময় অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আগুনে ঝলসে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে।
খবর পেয়ে মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বিল্ডিং এর কার্নিশ ঘেসে ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির মালিক মাহাবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তিকে খুশি করতে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তার বিল্ডিংএর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করেন।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মনোহর কুমার বিশ্বাস দাবী করেন, যে বিল্ডিং থেকে পড়ে বিদ্যুতের তারে নারীর মৃত্যু ঘটেছে সেখান থেকে অনেকটা দূরে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দীকি জানান, বিদ্যুতের তারে নিহত নারীর প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে মামলা দায়েরসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই