দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের জনসংখ্যা। বাড়ছে চাহিদা। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বড় অবদান রাখতে পারে উদ্ভিদ প্রজাতি। কিন্তু নানা দুর্যোগ, অবব্যবস্থাপনা আর অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে আজ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ গাছপালা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস, কেউয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেউয়ের ডিরেক্টর অব সায়েন্স প্রফেসর আলেক্সান্দ্রে আন্তোনেলি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক দৃশ্য। আমরা সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছি। কারণ, অনেক প্রজাতি খুঁজে নাম দেয়ার আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক উদ্ভিদ প্রজাতিই চিকিৎসার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সমস্যাগুলো, এমনকি আজকাল আমরা যে মহামারি দেখছি সেগুলোরও সমাধান করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে উদ্ভিদ বিলুপ্তির হার পূর্বানুমানের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ২০১৬ সালে ২১ শতাংশ উদ্ভিদ বিলুপ্তির হুমকিতে ছিল। এখন ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
গবেষকদের মতে, ওষুধ তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য অন্তত ৭২৩টি উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে পড়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বে সাত হাজারের বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ রয়েছে। অথচ এর একেবারেই সামান্য একটি অংশ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ হাজার ৫০০ উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে যেগুলো জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যায়। সেখানে মাত্র ছয়টি প্রজাতি- ভুট্টা, আখ, সয়াবিন, পাম, রাইসরিষা ও গম থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ভিদ প্রজাতি দ্রুত শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি।
খুলনা গেজেট/এমএম