বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ বা অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ খুন-জখম-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রেখে আওয়ামী শাসনকে প্রলম্বিত করতে লাগাতার জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে। এ সময় ভয়াবহ দুঃশাসনকে আড়াল করার ঘৃণ্য অপকৌশলের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ঘৃণ্য হামলা এবং খুন-জখমের নারকীয় বিভৎসতা চালিয়ে যাচ্ছে।‘
গত বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব কিশোরের বাসভবনে হামলাসহ পৌর যুবদল নেতা শান্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব এ বিবৃতি দেন। এতে এই ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দলটির সমর্থকদের দায়ী করা হয়।
সারা দেশকে এখন নিরাপত্তাহীনতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করা হয়েছে- এমনটা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব অধিকার হরণের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে আওয়ামী একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করতেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।‘
এ সময় মাগুরা জেলা বিএনপি কার্যালয় ও আহসান হাবীব কিশোরের বাসভবনে হামলাসহ পৌর যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
খুলনা গেজট/কেএম